
আরিফ হোসেন: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য আক্ষেপ করে বলেছেন,বিক্রমপুর নিয়ে মনে স্বপ্ন ছিল এক আর চাক্ষুস দেখলাম আরেক। আমি যদি আগে জানতাম বিক্রমপুরের চেহারা এই তাহলে কিছুটা হলেও সহায়তা করতে পারতাম। এখানে বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বপন ঘোষ,সালাম আজাদ আমার দারস্ত হয়েছিল। আমি তাদের রাস্তা করে দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, ৭ মাস পর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসবে কিন্তু আমরা কে কোথায় থাকবো জানিনা। আমাদের নেতা মৃণাল কান্তি এখানে রয়েছেন। তার ক্ষমতা রয়েছে যেকোন মন্ত্রীর কাছ থেকে কাজ নিয়ে আসার।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি সুষম বন্টনের মধ্য দিয়ে এদেশে সমতা ভিত্তিক সমাজ সৃষ্টি করে সাড়ে ৩ বছরে নিদর্শন করে গেছেন। ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে অনেক ক্ষেত্রে তিনি সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পূর্ণ প্রতিষ্ঠা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা আছেন বলেই বাংলাদেশ আরো একটি গণতান্ত্রিক দেশ, অসম্প্রদায়িক দেশ এবং উন্নয়নশীল গতির দেশ হিসেবে বিশ্বে আলোচিত হচ্ছে।
বুধবার বেলা ১১ টায় মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বালাশুর ভাগ্যকুলের জমিদার যদুনাথ রায়ের বাড়ি শ্রী শ্রী রাজা লক্ষী-নারায়ণ জিউ মন্দির পুনঃসংস্কারের উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, এ জাতি কখনোই সম্প্রদায়িক ছিলো না। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা অসম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করেন।
শ্রী শ্রী রাজা লক্ষী-নারায়ন জিউ ও দুর্গা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি দুলাল কৃষ্ণ সাহার(সাবেক সচিব) সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃনাল কান্তি দাস। আরো বক্তব্য রাখেন শ্রীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মসিউর রহমান মামুন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হোসেন পাটওয়ারী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. তোফাজ্জল হোসেন,হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ মুন্সীগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি অজয় চক্রবর্তী, শ্রীনগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সুখেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান স্বপন কুমার মোদক,রাঢ়ীখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক খান বারী প্রমুখ