আরিফ হোসেনঃ বিকল্পধারার যুগ্ন মহাসচিব মাহী বি.চৌধুরী বলেছেন,আমি বিক্রমপুরের মানুষের উপর বিশ্বাস করি।শান্তির আবাবিল পাখির মতো বিক্রমপুরের মানুষ ৭ জানুয়ারী ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে শুধু মাত্র আমাকে নির্বাচিত নয় আমরা জানান দিতে চাই আমরা আর অশান্তির রাজনীতি চাই না। আমরা আর মিথ্যা মামলা-হামলার রাজনীতি চাই না।আমরা জানান দিতে চাই মানুষকে গুম করার রাজনীতি চাই না।খুন করার রাজনীতি চাই না।
বর্তমান পরিস্থিতিতে একজন ভাল মানুষের পক্ষে নির্বাচন করা কঠিন। আপনারা দায়িত¦ না নিলে আমি একা হুন্ডা,গুন্ডার রাজনীতি বন্ধ করতে পারবো না।আপনারা দায়িত্ব নিলে ইনশাল্লাহ পরিবর্তন আসবে। ৭ জানুয়ারী আবারো প্রমাণ করে দিন বিক্রমপুরের মানুষ হুন্ডা,গুন্ডার কাছে মাথা নত করে না।
বৃহস্পতিবার বিকালে সিরাজদিখান উপজেলার কুসুমপুরে কুলা উৎসবে মাহী বি.চৌধুরী আরো বলেন, ২০০২ সালে আমি বিএনপির এমপি থাকাকালে বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার সময় তাকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে তোরণ নির্মাণ করেছিলাম।এই অপরাধে তখন আমার বাবাকে রাষ্ট্রপতি থেকে বাদ দেওয়া হয়। আজ ২০ বছর পর এসেও আমি তেমন কোন প্রার্থক্য দেখি না। আজ কুলা উৎসব বন্ধ করার জন্য প্রশাসন আমাকে অন্তত ১০ বার ফোন দিয়েছে। অথচ এটি একটি শান্তির মেলা।
মাহী বি.চৌধুরী বলেন, সিরাজদিখানের কুসুমপুরের মাটি থেকে শপথ নিতে চাই। সংসদ,টিভি যেখানেই কথা বলিনা কেন আমি বিক্রমপুরের পোলা সে কথা মাথায় থাকে। আমি বিক্রমপুরের মানুষের মান সন্মান ইজ্জতের রাজনীতি করি। ভিন্ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর হয়ে গেছে। হিন্দু মা বোনরা বলতে পারবেন কারা হিন্দুর সম্পত্তি দখল করেছে। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি গত ৫ বছরে ১ইঞ্চি হিন্দুর সম্পত্তি দখল করতে দেই নাই। আপনারা জানেন সিরাজদিখানে কারা টেটা যুদ্ধ বন্ধ হতে দেয় না।বিক্রমপুরের মানুষকে আল্লাহ তাদের হাত থেকে হেফাজত করুন।
মাহী বি.চৌধুরী বলেন,বিক্রমপুরের ইজ্জত আপনাদের হাতে তুলে দিয়ে গেলাম। সিদ্ধান্ত আপনাদের। অমিও কথা দিলাম,আমি বিক্রমপুরে আসবো। বিক্রমপুরের মানুষের জন্য রাজনীতি করবো। কে বিএনপি করে আর কে আওয়ামী লীগ করে তা নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নেই।
আমার বাবার মতো আমিও বিক্রমপুরের মানুষকে দল মতের ভিত্তিতে ভাগ করবো না। আমি বলতে চাই,যদি কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয় সে বিএনপির লোক হোক না কেন,যদি ঘর ছাড়া করা হয়। আমি যেই মার্কার এমপি হইনা কেন রাস্তায় থাকবো,রাজপথে থাকবো। তাদের পাশে থাকবো। কোন মানুষকে আর হয়রানি হতে দিবো না। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাজনীতি হবে অনন্দের,রাজনীতি হবে ভালবাসার,রাজনীতি হবে শান্তির। কুলা উৎসবে তিনি মা বোনদের উদ্দেশ্যে বলেন,অপনারা এক একজন ১৫ থেকে ২০ ভোটারের দায়িত্ব নিয়ে শান্তির বার্তা পৌছে দিয়ে তাদেরকে ভোট কেন্দ্র নিয়ে আসলে বিক্রমপুরের মানুষ অবশ্যই শান্তিতে ঘুমাতে পারবে।