
জাতীয়
অড়িয়াল বিলকে আগের রুপে ফিরিয়ে আনতে হবে সমীক্ষা প্রকল্পের কর্মশালায় সবাই একমত
শ্রীনগর পোস্ট ডেস্ক
সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫, ৯:৫১ অপরাহ্ণ | 170 বার পড়া হয়েছে



আরিফ হোসেনঃ অড়িয়াল বিল এলাকার জীবন যাত্রার মান এবং পানি ও ভূমি সম্পদের সমন্বিত ব্যবস্থাপনা সমীক্ষা প্রকল্পের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার শ্রীনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তে দিনব্যাপী এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করে আড়িয়ল বিলকে আগের রুপে ফিরিয়ে আনতে সবাই একমত পোষন করেন। অনুষ্ঠানে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব নাজমুল আহসান প্রধান অতিথী হিসাবে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন।
মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব(প্রশাসন অনুবিভাগ) আব্দুল লতিফ মোল্লা,হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের যুগ্ন সচিব ও পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, পানি উন্নয়ন মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব ( উন্নয়ন-২ অধি শাখা) মোঃ রবিউল আলম, পানি উন্নয়ন মন্ত্রনালয়ের উপ সচিব ( উন্নয়ন-৪) মোঃ রেয়াজুল হক, ইনস্টিটিউশন অফ ওয়াটার মডেলিংয়ের নির্বাহী পরিচালক এস এম মাহবুবুর রহমান, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের এগ্রো ফরেস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড.কাজী কামরুল ইসলাম, ফিসারিজ বায়োলজি এন্ড জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ গোলাম কাদের খান, হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের, উপ পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম, শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিন উদ্দিন,শ্রীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) গোলাম রাব্বানী সোহেল প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং( আই ডব্লিউ এম) এর পরিচালক গৌতম চন্দ্র বিধান। তিনি জানান, আগামী জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। অনেক দিন ধরে আমরা আড়িয়ল বিলের পরিবেশ,পানি,জীব বৈচিত্র, বিল পাড়েরর মানুষের জীবন যাত্র সহ নানা বিষয়ে কাজ করেছি।
কর্মশালায় আড়িয়ল বিল পাড়ের কৃষক,জেলে সহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ, আড়িয়ল বিল জলাশয় রক্ষা কমিটির সদস্য বৃন্দ,স্থানীয় সাংবাদিক ও শিক্ষক বৃন্দ তাদেরর মতামত তুলে ধরেন।
আরিয়ল বিলের পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র রক্ষায় পদ্মা নদীর সংযুক্ত খালের মুখ অবমুক্ত করে খালে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক করা, খাল খননের মাধ্যমে পানি ধরে রাখা, চায়না দোয়ারী জালের ব্যবহার নিষিদ্ধ, বিলুপ্ত বা বিলুপ্তের পথে বিলের দেশী মাছ রক্ষায় অভয়াশ্রম তৈরি,ইকো ট্যুরিজম,ফসলের বন্ধু পাখিদের রক্ষা করার জন্য হিজল,বরুন গাছের মতো পানিতে বেঁচে থাকে এমন বৃক্ষ রোপন, যত্র তত্র রাস্তা তৈরি না করে বিলের পানি প্রবাহে বাধা তৈরি না করা। অতিরিক্ত কচুরি পানা নিয়ন্ত্রনে পদক্ষেপ নেওয়া,খাস জমি রক্ষা সহ প্রস্তাবনায় নানা বিষয় উঠে আসে।
বিলপাড়ের কৃষক ও মাছ চাষীরা জানান, বিলের গভীর থেকে ফসল তুলে আনতে অনেক বেগ পেতে হয়। তাই রাস্তা তৈরি করা দরকার। অপরদিকে সমীক্ষা প্রস্তুতকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিলে এমন কোন রাস্তা তৈরি করা যাবে না যেখানে বিলের পানি প্রবাহ বাধা তৈরি করে। উদাহরণ হিসাবে তারা কিশোরগঞ্জের মিঠামাইন হাওরের উপর রাস্তার বিষয়টি তুলে ধরেন। কৃষকরা জানান, বর্ষা মৌসুমে কচুরি পানার ভিটি তৈরি করে সেখানে নানা রকম অর্গানিক শাক সবজি আবাদ করা হয়। কিন্তু কচুরি পানা বেশী হয়ে যাওয়ার করনে শুষ্ক মৌসুমে বিলের প্রায় ষাট ভাগ জমি অনাবাদি পরে থাকে বলে তারা জানান। এসময় তারা ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়া,তুলনা মূলক ভাবে শ্রমিকের দাম অনেক বেশী হওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন।
রাজধানী ঢাকার সবচেয়ে কাছের বিল হচ্ছে আড়িয়ল বিল। সমীক্ষায় দেখা গেছে বর্ষা ও শুষ্ক দুই মৌসুমেই এই বিলের পানি মাছের জন্য অনুপুযুক্ত। আড়িয়ল বিলকে রক্ষায় কর্মশালায় সবাই একমত প্রকাশ করেন।




জাতীয় থেকে আরও পড়ুন



জাতীয় সর্বাধিক পঠিত

মন্তব্য